আব্দুস সালাম,টেকনাফ(কক্সবাজার)
কক্সবাজারের সেন্টমার্টিনদ্বীপকে রক্ষায় বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়-সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার (৪ ফেব্রুয়ারী) বিকেলে দ্বীপটিতে থাকা জেলা প্রশাসনের তথ্য ও সেবাকেন্দ্রে কমিটির ৩৩তম সভা অনুষ্ঠিত হয়। এসময়
সেন্টমার্টিনদ্বীপের বেহাল অবস্থা দেখে উৎকণ্ঠা প্রকাশ করেন তারা।
বৈঠকে স্থায়ী কমিটির সভাপতি আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী বলেছেন, ‘দ্বীপের বেহাল অবস্থা দেখে আমরা উদ্বিগ্ন। দ্বীপে না আসলে অপরিকল্পিত অবকাঠামো দেখা সম্ভব হতনা। আমি ১৯৯৭ সালে প্রধানমন্ত্রীর সফরসঙ্গী হিসেবে এসে প্রবালে ভরপুর সবুজে বিস্তৃত প্রকৃতিগত দৃশ্য উপভোগ করেছি। কিন্তু এখন সে দৃশ্য নেই। এই অবস্থায় আমি অত্যন্ত উদ্বিগ্ন। কেননা আগামী পাঁচ বছর পর অবস্থা কি হয় তা কল্পনার বাইরে। তখন পর্যটকরা আসবেন কিনা সন্দেহ?। দেশের একমাত্র প্রবালদ্বীপ সেন্টমাটিন এভাবে চলতে দেয়া যায় না। তাই পর্যটনবান্ধব পরিবেশ গড়ে তোলার পাশাপাশি দ্বীপ রক্ষায় সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে।’
বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩ আসনের সাংসদ আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী’র সভাপতিত্বে বৈঠকে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটনমন্ত্রী মাহবুব আলী, সংসদীয় কমিটির সদস্য ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন এমপি, আশেক উল্লাহ রফিক এমপি, কানিজ ফাতেমা আহমেদ এমপি। এছাড়া চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার ড.মো.আমিনুর রহমান, সাবেক সাংসদ আব্দুর রহমান বদি, জেলা প্রশাসক মুহম্মদ শাহীন এমরান, টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. কামরুজ্জামান, উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) এরফানুল হক চৌধুরীসহ বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়সহ সংসদ সচিবালয়ের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
এদিকে সভায় বক্তরা, অপরিকল্পিত ভাবে হোটেল-মোটেল নির্মাণ বন্ধসহ সেন্টমার্টিনদ্বীপ ধারণ ক্ষমতার বাইরে পর্যটক ভ্রমণে বিষয়টিও আলোচনাসহ দ্বীপ রক্ষার্থে স্থানীয় মানুষজন, হোটেল মালিক, ট্যুর অপারেটর ও জাহাজ মালিককে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করার আহবান জানান। এছাড়া সেন্টমার্টিনদ্বীপকে নতুন করে জেটি নির্মাণে কর্তৃপক্ষকে নির্দেশনা দেওয়া হয়। এর আগে কমিটির সদস্যরা দ্বীপ ঘুরে দেখেন।