উত্তরের জেলা পঞ্চগড়-ঠাকুরগাঁও-দিনাজপুর থেকে
আমি কুয়াশা জড়ানো শিশিরে ভেজা পথে
শৈত্যপ্রবাহের হিমশীতল হার কাঁপানো জবুথবুময়
যেখানে চোখ-মুখ-হৃদয় একই সুরে কথা কয়।
খড়-কূটো, গোবরের ঘুঁটে বা চেলা কাঠে
পোড় পোহানো চাষাগণ এখন জমিনের মাঠে।
হৃদয় নিংড়ানো ভালবাসার শুভ সকাল!
এখানে এখন প্রায় রোদহীন শীতকাল!
লেপ-কাঁথা-কম্বলের উষ্ণতা ভেঙে
কান্দরে ছেঁয়ে থাকা সবুজাভ-হলদে রঙে।
ভোরের শুভ্রতায় বরফ পানির স্পর্শে
কেঁপে কেঁপে ওঠা প্রাণের সংস্পর্শে।
শিশির ভেজা পথের সিক্ততা ছুঁয়ে
গাঢ় ঘন কুয়াশা পড়ে নুইয়ে।
শৈত্য প্রবাহের পরশ বুলিয়ে
পথে বেরিয়েছি চোখে ঘুম নিয়ে।
শেষ সীমানায়!
প্রেম ভাবনায়!
যেখানে মন মেলেছে পাখনা
বিশালকায় সৈকতের অপার ভাবনায়!
যে দেশে মন-প্রাণ ওঠে দোলে
অগুনতি ছোট বড় উর্মিমালার তালে।
যেখানে হৃদয় লুকোচুরি খেলে
ঝাউবন, কেয়াবন, গোল পাতার আড়ালে!
আমি তার অরুপ রুপে মাতোয়ারা
অন্তরেতে পাগলপারা।
হাসিতে যার জোছনায় ভরে আমার উঠোন
তার ক্যানভাসে আঁকা ছবি হতে চায় মন।
তামাম সৌন্দর্যই সেই তাকে ঘিরে,
অনন্য প্রিয়তম, তাবদ ভালবাসার ভীরে।৷
ফিরছি আজি তারই হতে, কপোলে কোমল ছোঁয়া পেতে!
আমি ফিরছি সেথায়, পাহাড়-সমুদ্র মানবী হতে!
লেখাঃ বিমলা রায়
৬ জানুয়ারি ২০২৩ ইং