তুমি আজ যেন এক বিরান ভূমি। ধূ-ধূ বালুচর।
তোর বুক জুড়ে শুধুই বালু আর বালু।
পাহাড় বেয়ে ধেয়ে আসা জল নেই। স্রোতের ধারা নেই।
নেই শ্রাবণ মেঘের অথৈজলের ঢেউ।
শো শো শব্দও শোনা হয় নি বহুদিন!
তোর বুকটা আজ শুকিয়ে চৌচির।
শুন্য, খাঁ খাঁ, শুকনো, ফাঁকা মাঠ প্রান্তর!
কোথায় সেই নদের চেহারা,
কোথায় সেই ভাব গাম্ভীর্যতা! কই সে ভরাট কণ্ঠ।
জবুথবু হয়ে পড়ে থাকা এক পশলা জলে
দিগন্ত জুড়ে নেমে আসে নিঃস্তব্ধতা,
নেমে আসে অমানিশার আঁধার।
যে আঁধারে ভেসে চলে দুঃস্বপ্নের রাত!
তোমার এই মলিনতা কঠিন বুকে হেনেছে আঘাত,
নিথরতায় বুকটা ককিয়ে উঠেছে আমার।
কেন তোমার অমন দশা হলো নদ?
এ কি হাল তোমার? কি চেহারা বানিয়েছো!
অযত্নে, অবহেলায় পড়ে আছো আধ মরা দেহ নিয়ে।
তুমি কি তোমার সৌন্দর্য হারিয়েছো?
নাকি কোন কারনে মন মরা হয়ে পড়ে আছো!
শত শত বছর ধরে অবিরত বহমান সেই তুমি
আজ জীর্ণ শীর্ণ হয়ে পড়ে থাকা এক নদ।
তোমার বুকে চলে এখন টগবগে ঘোড়ার গাড়ি!
এতটুকু জলে ছোট্ট ডিঙি নৌকায় পারাপার!
তুমি ফিরবে আবার তোমার রুপে?
আমি আবার তোমার বুকে ভাসতে চাই,
তোমার প্রখর স্রোতের ধারায় মিশে
পৃথ্বিবী পার করতে চাই শতকোটি বছর!
তুমি নেবে কি আমায়?
লেখক: বিমলা রায়
উন্নয়নকর্মী