(২য় পর্ব)
চট্টগ্রাম সরকারি মহিলা কলেজের সহযোগী অধ্যাপক ও উপদেষ্টা-আনম সিরাজুল ইসলাম এবং আরেক উপদেষ্টা ও উপজেলা যুব উন্নয়ন অফিসার,পটিয়া- মোঃ শাহাব উদ্দিন আর সংগঠনের অর্থ সম্পাদক,তরুণ সমাজসেবক-মুঃ রিহাবুল আলমের লেখার মর্মকথার সাযোজ্যতা লক্ষ্যনীয়।
তবে বয়স ও মননশীলতার কারণে প্রথমোক্ত দু’জনের লেখনিতে নিখাঁদ বর্ণনা আর অভিভাবক সূলভ আশাবাদিতার কথা গুলো পাঠকদের ভাবিত করবে।
প্রাবন্ধিক ডাঃ জামাল উদ্দিন এবং মহিলা বিষয়ক সম্পাদক ও দেওয়ানহাট সিটি কর্পোরেশন কলেজের প্রভাষক তৌহিদা আক্তার বিভিন্ন সংগঠন সৃষ্টির ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপট বর্ণনা করেছেন-তাদের লেখায়। বর্তমানে সিটি ইউনিভার্সিটি,হংকং-এর পিএইচডি গবেষক এবং চবি’র সহকারি অধ্যাপক সোহানা আকতার মিনা তার মা-কে নিয়ে স্বভাবজাতভাবে গর্ব করে স্বীয় ক্যারিয়ার গঠনের সংগ্রামকে উপজীব্য করার মাধ্যমে “ইচ্ছা ও প্রচেষ্টা”শীর্ষক সুপঠিত লেখাটি বিধৃত করেছেন।
চট্টগ্রাম বন্দরের অথরাইজড অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সাদিয়া আফরিন কচি-পার্বত্য বান্দরবান জেলার নাইক্ষংছড়িতে উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও)হিসেবে সরকারি দায়িত্ব পালন কালের এক টুকরো স্মৃতিকে অবগাহন করে”নাইক্ষংছড়ি-একটি সুন্দর স্মৃতির নাম” রচনার মাধ্যমে নিজে নষ্টালজিক হয়েছেন।
সাংগঠনিক সম্পাদক ও চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের সাব-ইন্সপেক্টর মোঃ আইয়ুব উদ্দিন বাংলাদেশ পুলিশে প্রযুক্তির ব্যবহার তথা ডিজিটেলাইজেশ নের সুবিধাই শুধু নয়,বরং এর অতীব প্রাসঙ্গিকতার নিপুণ বিবরণ দিয়ে “প্রযুক্তির ব্যবহার -পুলিশের সেবার গতি বাড়িয়েছে” শিরোনামে লেখনির মাধ্যমে তার পেশার প্রতি দায়িত্ববোধের পরিচয় দিয়েছেন-বেশ দৃঢ়তায়।
ইন্ডিয়ায় তার রেলভ্রমণকে উপজীব্য করে ব্যবসায়ী বেলাল উদ্দিন চৌধুরী মানব জীবনে ভ্রমণের গুরুত্বকে পাঠকের সামনে হাজির করেছেন। চবি’র নতুন প্রভাষক আসমাউল হোসনা-জিন প্রকৌশল নিয়ে একটি লেখার মুসাবিদা করে কঠিন বিষয়টিকে অতীব সহজবোধ্যভাবে উপস্থাপন করেছেন,যা প্রসংশার দাবি রাখে।
উল্লেখ্য যে-লালগোলা’য় লেখিয়েদের মধ্যে পূর্বোক্ত ম্যাজিস্ট্রেট সাদিয়া আফরিন কচি এবং চবি’র প্রভাষক আসমাউল হোসনা-এ দু’জনই “খুটাখালী বউ”।
“সৎ চিন্তা”কে গল্পচ্ছ্বলে উপস্থিত করেছেন,শেফিল্ড বিশ্ববিদ্যালয়,যুক্তরাজ্যে পিইচডি গবেষণারত-যিনি সরকারের পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের একটি গবেষণা প্রতিষ্ঠানের ফেলো(শিক্ষা ছুটিরত) মুঃ রিয়াজ উদ্দিন। তার লেখনিতে মানবিকতাকে উর্ধ্বে তুলে ধরা হয়েছে,যেটি মনুষ্যবোধকে জাগ্রত করবে নিঃসন্দেহে। “লেখাটি লেখকের একান্তই নিজস্ব মত” বলে লেখক স্বীকারোক্তি করেছেন লেখার শেষাংশে।
ট্যুরিস্ট পুলিশের একজন উপ-পরিদর্শক এসআই নাছির উদ্দিন-লিখেছেন,মানবচালিত ত্রিচক্রযান,মানে রিক্সার আদ্যোপান্ত। অজানাকে জানতে সহায়তার সূবর্ণ সুযোগ সৃষ্টির নির্মল প্রয়াস এটি। বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের তরুণ আইনজীবী আব্দুল্লাহ আল গালিব খুটাখালীতে বালু খেকোদের দৌরাত্ম্যের সকরুণ বর্ণনা দিয়ে সংশ্লিষ্টদের বুধোদয়ের প্রত্যাশায় সচেষ্ট হয়েছেন।
চবি’র শিক্ষার্থী মঈন উদ্দিন চিশতি ‘উপহার’কে সামাজিকতার আড়ালে অমানবিক আখ্যায়িত করতঃ সমাজের মর্মমূলে সফলভাবে কুটারাঘাত করেছেন। তারুণ্যদীপ্ত চিকিৎসক,যিনি ইব্রাহিম ইকবাল মেমোরিয়াল হসপিটাল,পটিয়ায় কর্মরত থেকে চিকিৎসা সেবায় নিবেদিত, ডাঃ তারিকুল ইসলাম তুহিন- “অ্যান্টিবায়োটিক রেসিস্ট্যান্স” শিরোনামে মানবদেহের একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান,অ্যান্টিবায়োটিক নিয়ে পূর্বাপর বর্ণনার মধ্য দিয়ে জনসচেনতামূলক বিষয়ের অবতারণা করেছেন;মনুষ্যস্বাস্থ্য নির্মাণে লেখাটি ভূমিকা রাখবে।
ইউএসটিসি’র ৪র্থ বর্ষের শিক্ষার্থী নুঝহাত তারান্নুম মিলি থ্যালাসেমিয়া রোগ এবং ফৌজদারহাট কলেজিয়েট স্কুলের সিনিয়র শিক্ষক মোঃ বেলাল উদ্দিন যথাক্রমে উপরোক্ত রোগের প্রতিষেধক ও জীবনে সাফল্য আনতে কতিপয় বিষয়ে পাঠকদের সজাগ করার চেষ্টা করেছেন।
ইস্পাহানি পাবলিক স্কুল এন্ড কলেজের অনুসন্ধানে ব্রতি ছাত্র মাবরুরা জান্নাত- মানুষ,প্রাণি ও উদ্ভিদের ভাষাকে ২০১৭-২০৭৯ পর্যন্ত সময়ে ক্রমবিকাশের কাল্পনিক জগতে বিচরণে প্রয়াসী হয়েছেন।।
বিঃদ্রঃ সভাপতিসহ (প্রথম কর্মস্থল)খুটাখালীর এতোগুলো সন্তানের পথচলা চট্টগ্রাম আদালতকে ঘিরে কিন্তু আইন আদালতের হালহকিকতকে উপজীব্য করে এদের (বিচারক- পিপি-আইনজীবী)কারোরই লেখা স্থান পায়নি -‘লাল গোলা’য়!কবিতার আকাল(!)ও দৃশ্যমান এটিতে।আগামিতে সম্পাদনা পর্ষদের সংশ্লিষ্টরা বিষয় দু’টোকে অধিকতর গুরুত্ব দেবেন-এমনটিই প্রত্যাশ্য