অনলাইন ডেস্ক |
জাদুকরী নৈপুণ্যে ৩৬ বছর পর আর্জেন্টিনার বিশ্বকাপ শিরোপা নিশ্চিত করেছেন। পারফরম্যান্সের পুরস্কার স্বরূপ জিতেছেন সেরা খেলোয়াড়ের খেতাব। তারই স্মারক ‘গোল্ডেন বল’ বুঝে নিতে পুরস্কার মঞ্চে ডাক এলো লিওনেল মেসির।
‘খুদে জাদুকর’ সেটা বুঝে নিলেন। এরপর এগিয়ে গেলেন বিশ্বকাপ ট্রফিটার দিকে। ‘গোল্ডেন বল’ কোলে জড়িয়ে বিশ্বকাপের সোনালি ট্রফিতে চুমু আঁকলেন লিওনেল মেসি। যে দৃশ্য দেখতে পৃথিবীর নানা প্রান্তে কোটি চোখ ছিল প্রতীক্ষায়।সোনালি ট্রফিটারও কি অপেক্ষা ফুরাল না তাতে! মেসির এই চুমু না পড়লে ট্রফিরও তো আক্ষেপ থেকে যেত নিশ্চিত।
লুসাইল স্টেডিয়ামে রবিবার অনুষ্ঠিত ফাইনাল ম্যাচটি ছিল নাটকীয়তায় ভরা। নির্ধারিত সময়ের খেলা শেষ হয় ২-২ সমতায়। অতিরিক্ত সময় শেষে স্কোর লাইন ছিল ৩-৩। এরপর টাইব্রেকারে ৪-২ ব্যবধানে জয় নিশ্চিত করে আর্জেন্টিনা।প্রথমার্ধে লিওনেল মেসি পেনাল্টি থেকে গোল করে এগিয়ে দেন দলকে। পরে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন অ্যাঞ্জেল ডি মারিয়া। তবে দ্বিতীয়ার্ধের শেষ দশ মিনিটে কিলিয়ান এমবাপ্পে ম্যাচের দৃশ্যপট বদলে দেন। ৯৭ সেকেন্ডের ব্যবধানে জোড়া গোল করে ম্যাচ নিয়ে যান অতিরিক্ত সময়ে। যেখানে মেসি নিজের দ্বিতীয় গোলটি আদায় করে স্কোরলাইন ৩-২ করেন। দশ মিনিট পর এমবাপ্পে পেনাল্টি থেকে হ্যাটট্রিক পূরণ করলে স্কোরলাইন ৩-৩ হয়।ব্রাজিলের পর কাতারেও মেসির হাতে গোল্ডেন বল
টাইব্রেকারে প্রথম শট থেকেই গোল পায় দুই দল। ফ্রান্সের হয়ে এমবাপ্পে ও আর্জেন্টিনার হয়ে মেসি গোল করেন। তবে ফ্রান্সের কিংসলে কোমানের শট রুখে দেন আর্জেন্টিনা গোলরক্ষক মার্তিনেজ। আর চুয়ামেনির শট বেরিয়ে যায় পোস্ট ঘেঁষে। অনেক নাটকের পর ম্যাচের শেষটা যেন লেখা হয় এখানেই।
সেরা খেলোয়াড়ের পুরস্কার জেতার সঙ্গে টুর্নামেন্টে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ গোলস্কোরার মেসি। মোট ৭ গোল করেছেন। তিনিই ইতিহাসে একমাত্র খেলোয়াড়, যিনি গ্রপ পর্বে গোল করার পর নকআউট পর্বেও প্রতি ধাপেই (শেষ ষোলো, কোয়ার্টার ফাইনাল, সেমিফাইনাল ও ফাইনাল) গোল করলেন।