মোঃ ইফসান খান ইমন,নাইক্ষ্যংছড়ি
মিয়ানমার সীমান্তবর্তী নাইক্ষ্যংছড়ি সীমানা পার হয়ে আসা আলীকদমের মাতামুহুরীর সংরক্ষিত এলাকায় উপজেলা প্রশাসন ও বিজিবির যৌথ অভিযানে জব্দ ৭২ টি গরু মহিষের নিলাম কাজে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে।
সোমবার বিজিবির তত্ববধায়নে বান্দরবান শুল্ক দপ্তরের উপস্থিতে নিলাম কার্যক্রমে ১ কোটি টাকার গরু মাত্র ৪৪ লাখ ৬৫ হাজার টাকার পাতানো নিলাম কার্যক্রমে সমাপ্ত করা হয়। যা নিলাম হওয়া পণ্যের মোট নিলাম মুল্যের ৫০ ভাগের কম।
এই পাতানো নিলাম কার্যক্রমে মাধ্যমে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও শুল্ক বিভাগের কর্মকর্তাদের যোগসাজশে করে মোট বাজার মুল্যের অর্ধেকে টাকায় পাতানো নিলাম সমাপ্ত করে বলে অভিযোগ করেন নিলামে অংশ্রহণাকারী এক ব্যবসায়ী।
তিনি জানান, উম্মুক্ত নিলামে অংশগ্রহণে স্থানীয়ভাবে বাধা সৃষ্টি করে ৮ লাখ টাকায় নিগোসিয়েশন করে নিলাম কার্যক্রম স্থগিত করা হয়। নিগোসিয়েশনের ৮ লাখ টাকা স্থানীয় কতিপয় জনপ্রতিনিধি ও প্রভাবশালী নেতা ভাগ ভাগ নেয়।
পাতানো নিলাম কার্যক্রমে ১ কোটি টাকা বর্তমান বাজার মুল্যের গরু মাত্র ৪৪ লাখ ৬৫ হাজারে নিলাম সমাপ্ত হয়। এতে করে সরকার অর্ধ কোটি টার বেশি রাজ্বস হারায়।
নিলাম নিয়ম অনুসারে নিলামে ওঠা পন্য মোট বাজার মুল্যের ৬০ ভাগ দাম নিলাম কার্যক্রমে পাওয়া না গেলে পুনরায় নিলাম ডাকাতে হবে। কিন্তু উপজেলা প্রশাসন ও বিজিবির যৌথ অভিযানে জব্দ ৭২টি গরু মহিষের নিলামে মোট বাজার মুল্যের মাত্র ৪৪ ভাগ দাম ওঠে মাত্র। ফলে পুনরায় নিলাম কার্যক্রম হওয়ার কথা থাকলেও বান্দরবান শুল্ক বিভাগের কর্মকর্তারা তা করেনি। এই নিয়ে স্থানীয় ব্যবস্থায়ী ও ভোক্তভোগি নিলাম কার্যক্রমের স্বচ্চতা নিয়ে প্রশ্ন ওঠেছে।