মোঃ ইফসান খান ইমন নাইক্ষ্যংছড়ি:
‘সমাজের রন্ধ্রে রন্ধ্রে ছড়িয়ে পড়া মাদক থেকে মুক্তির জন্য খেলাকে যুবসমাজের মধ্যে আরও বেশি ছড়িয়ে দেওয়া নিশ্চিত করতে হবে। দিন দিন খেলার প্রতি অনাগ্রহ যুবসমাজকে যেমন মানসিকভাবে অস্থির করে তুলছে, তেমনি তাঁরা অন্য সব বিষয় থেকেও পিছিয়ে পড়ছে। তাই আমাদের মধ্যে বেশি বেশি ক্রীড়া চর্চা প্রয়োজন।’ কথাগুলো রামুর গর্জনিয়া ইউনিয়নের কৃতি সন্তান, চট্টগ্রামের বাঁশখালী চৌকির সিনিয়র জুড়িসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট মাইনুল ইসলাম লিপুর।
‘মাদককে না বলুন, খেলাকে হ্যাঁ বলুন’ প্রতিপাদ্যে ১২ জুলাই গর্জনিয়া উচ্চবিদ্যালয় মাঠে ঈদুল আজহা উপলক্ষে মাদকবিরোধী প্রীতি ফুটবল ম্যাচ আয়োজন করা হয়। ওই খেলার উদ্বোধন করতে গিয়ে উপস্থিত সবার উদ্দেশে কথাগুলো বলেছেন মাইনুল ইসলাম লিপু।
ম্যাচে প্রতিপক্ষ হয়ে একে অপরের বিপক্ষে খেলেন গর্জনিয়া ইউনিয়নের প্রাক্তন কৃতি ফুটবলাররা। জাতীয় সংগীতের মধ্য দিয়ে শুরু হওয়া লাল আর হলুদ দলের মধ্যে অনুষ্টিত হয় নান্দনিক এই প্রীতি ম্যাচ। খেলায় ১-০ গোলে জয় পান লাল দল। এদিন খেলা উপলক্ষে সবার মধ্যে ছিল উচ্ছ্বাস, যেন নতুন-পুরোনো বিশিষ্ট জনের মিলনমেলা। নারী দর্শকরাও খেলা উপভোগ করেছেন। মাঠে ছিলো নানা শ্রেণির দর্শকদের সরব উপস্থিতি।
দুই দলের হাতে পুরস্কার হিসেবে ট্রফি তুলে দেওয়া হয় এবং প্রতিটি খেলোয়াড় আর অতিথিবৃন্দের হাতে তোলে দেওয়া হয় চম্পা ফুলের চারা গাছ। অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি গর্জনিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মুজিবুর রহমান চৌধুরী বলেন- আগামী পাঁচ বছরের মধ্যে গর্জনিয়াকে তিনি মাদক ও জোয়া মুক্ত করতে প্রাণপন চেষ্টা চালাবেন।
খেলায় অংশ গ্রহণকারী সাবেক কৃতি ফুটবলার লুৎফুর রহমান আজিম, হাফেজ আহমদ, মুফিদুল আলম, জহিরুল ইসলাম, আরিফুল ইসলাম পান্নু, অমর শর্মা, কলিম উল্লাহ, নজরুল ইসলাম, মিজানুর রহমান, সরওয়ার কামাল’সহ অনেকে নিজেদের অনুভুতি প্রকাশ করেছেন। তাঁরা বলেছেন- দীর্ঘ এক যুগেরও বেশি সময় পর মাঠে খেলতে নেমে ধারুণ আনন্দ পেয়েছেন। বিশেষ করে মাঠের দর্শকদের হাত তালি অনুপ্রেরণা যুগীয়েছে বেশি।
মাদকবিরোধী প্রীতি ফুটবল ম্যাচের সার্বিক ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে ছিলেন- পোয়াংগেরখিল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি হাফিজুল ইসলাম চৌধুরী। তিনি বলেন- সব অসুন্দরের বিপরীতে আলোর পথে আমরা থাকতে প্রচেষ্টা চালাচ্ছি। ফেসবুকে বুঁদ হয়ে থাকা তরুণ, মাদকের ঘোরে থাকা যুবক ও অপসংস্কৃতির বেড়াজালে আটকে থাকা কিশোর বন্ধুদের সুস্থ বিনোদনের জন্য প্রতিটি মহল্লায় খেলাধুলার চর্চা বাড়াতে হবে। খেলায় বিশেষ অতিথি ছিলেন- গর্জনিয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ নেতা আমিন উল্লাহ চৌধুরী জিকু, ডা: তানভীরুল আরফাত প্রমূখ।
প্রীতি ম্যাচটি পরিচালনা করেন বাফুফের রেফারি ও গর্জনিয়া উচ্চবিদ্যালয়ের শিক্ষক অসিত পাল, প্রাক্তন খেলোয়াড় জিয়া উল হক জিয়া, গর্জনিয়া ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক জয়নাল আবেদীন জনি। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন ছাত্রলীগ নেতা ইকবাল হোসাইন স্বাধীন ও আজিজ খাঁন জয়।