সংবাদ বিজ্ঞপ্তি :
সম্মানিত রাজাপালং ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের কাউন্সিলর, ডেলিগেট ও আপামর জনসাধারণ, ও উখিয়া- টেকনাফ সাংগঠনিক টিমের নেতৃবৃন্দ আপনাদের অবগত করার অভিপ্রায়ে জানাচ্ছি যে, আসছে ২০ই মে ২০২২ ইং রাজাপালং ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সম্মেলনের দিন ধার্য্য করা হয়েছে, কিন্তু পরিতাপের বিষয় কিছু স্বার্থান্বেষী মহল ও স্বাধীনতা বিরোধীদের দোসর মিলে সম্মেলন বানচাল করার অপচেষ্টায় লিপ্ত।
ইতিমধ্যে হলদিয়া পালং ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচনে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার নৌকা প্রতীকের বিরোধী চেয়ারম্যান ও হলদিয়া পালং ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের ওয়ার্ড পর্যায়ের সম্মেলন বানচাললের অপচেষ্টাকারী, হুমকি দাতা ও ২০০১ ইং সালের নির্বাচন পরবর্তী আওয়ামী নেতাকর্মী ও সমর্থকদের বাড়ি ঘরে অগ্নিসংযোগকারী, এবং কোট বাজার স্টেশনে ছাত্রলীগ, যুবলীগ নেতাকর্মীদের উপর গুলি বর্ষণকারী, আমাদের প্রিয় নেতা উখিয়া উপজেলা আওয়ামীলীগের সংগ্রামী সাধারণ সম্পাদক বারবার নির্বাচিত রাজাপালং ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জননন্দিত জননেতা জনাব জাহাঙ্গীর কবির চৌধুরীর বিরুদ্ধে কুৎসা রটিয়ে দাম্ভিক ব্যক্তি ইমরুল কায়েস চৌধুরীর একটি পোস্ট আমার দৃষ্টি গোচর হয়েছে যেটি অত্যন্ত দুঃখজনক ও বটে।
জনাব আপনি হয়তবা জানেননা ১৯৯৬ ইং সালে রাজাপালং এমদাদুল উলুম ফাজিল ডিগ্রী মাদ্রাসার আমি সভাপতি নির্বাচিত হয়ে দায়িত্ব পালন করেছিলাম, তৎপরবর্তীতে যুবলীগের রাজনীতির সাতে যুক্ত হয়ে যুবলীগের রাজাপালং সদর ইউনিয়নের ২০০৪ সালে যুগ্ন আহবায়ক ও ২০০৮ সালে আহবায়ক এর দায়িত্ব পালন করি । আমি দীর্ঘদিন রাজাপালং ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের ২নং ওয়ার্ডের সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করি, সভাপতি (ভারপ্রাপ্ত) হিসেবে দায়িত্ব পালন করি ২০১৩সাল থেকে আজ অব্দি পর্যন্ত। আমার দায়িত্ব পালন কালীন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সভাপতি ও গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার জনসভার কার্যক্রম সফল ভাবে সম্পন্ন করি।
তার পরও ৬/৭ বছর আগের একটি সামাজিক অনুষ্ঠানের ছবি নিয়ে আমাকে আওয়ামী বিরোধী হিসেবে আখ্যা দেওয়া বিষয়টি খুব দুঃখজনক ও অনভিপ্রেত। আপনারা সবকিছু অবগত আছেন আমি যে ওয়ার্ডে বসবাস করি সেই ওয়ার্ড টি বিএনপি-জামাত অধ্যুসিত এলাকা বড় বড় নেতাদের বসবাস , যে ওয়ার্ডের স্বাধীনতা পরবর্তী আওয়ামী সমর্থিত প্রার্থীরা ১০০ /২০০ ভোট পেয়ে আসছিল আমার পরিবার ও আমি যখন থেকে সক্রিয়ভাবে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাথে ওতপ্রোতভাবে জড়িত হয়েছি তখন থেকে বাংলাদেশ আওয়ামী সমর্থিত প্রার্থীদের ভোটের সংখ্যা বাড়তে বাড়তে সদ্য হয়ে যাওয়া ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে নৌকা প্রার্থী ১২০০কাছাকাছি ভোট পেয়েছে।
আমি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সম্মেলনে সভাপতি প্রার্থী হয়েছি বলে আমার বিরুদ্ধে কিছু ষড়যন্ত্র কারী অপপ্রচার চালাচ্ছে, আমি সম্মানিত কাউন্সিলর বৃন্দ ও আপামর জনসাধারনকে অনুরোধ করবো আপনারা বিভ্রান্ত হবেন না। সুতরাং সমস্ত ষড়যন্ত্রের জাল ছিন্ন করে আওয়ামী লীগকে সুসংগঠিত করে জননেত্রী শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করার লক্ষ্যে আমরা রাজাপালং ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ একতাবদ্ধ। ষড়যন্ত্রকারীদের এধরনের ফেসবুকে স্ট্যাটাসের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।
প্রতিবাদকারী
সালা উদ্দিন
ভারপ্রাপ্ত সভাপতি, রাজাপালং ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ