উখিয়ায় বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্নামেন্টের ফাইনালে জালিয়াপালং ও রাজাপালং
আলাউদ্দিন, উখিয়া
কক্সবাজারের উখিয়া উপজেলায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান জাতীয় গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্নামেন্ট (অনূর্ধ্ব-১৭)-২০২২ অনুষ্ঠিত হয়েছে। দীর্ঘদিন পর বৃহস্পতিবার (১২ মে) বিকেলে উখিয়া সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় খেলার মাঠে (মিনি স্টেডিয়াম) ৪ ইউনিয়নের মধ্যকার দুটি ম্যাচ অনুষ্ঠিত হওয়ার মধ্যদিয়ে এই টুর্নামেন্ট শুরু হয়।
উখিয়া উপজেলা প্রশাসন ও উপজেলা ক্রীড়া সংস্থার আয়োজনে টুর্নামেন্টে উপজেলার ৫ ইউনিয়নের মধ্যে জালিয়াপালং, রত্নাপালং, হলদিয়াপালং ও রাজাপালং ইউনিয়ন অংশগ্রহণ করে। শুরুর একদিনেই ৪ দলের মধ্যে দুটি ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয়। প্রথম ম্যাচে গোল শূন্য ড্র করে ট্রাইবেকারে ৫-৬ গোলের ব্যবধানে ৩নং হলদিয়াপালং ইউনিয়নকে হারায় ১নং জালিয়াপালং ইউনিয়ন। পরে ২নং রত্নাপালং বনাম ৪নং রাজাপালং ইউনিয়নের মধ্যকার ম্যাচটিও হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের পর গোল শূন্য ড্র করে। ম্যাচ শেষে ট্রাইবেকারে ২নং রত্নাপালং ইউনিয়নকে ৪-৩ গোলে হারায় ৪নং রাজাপালং ইউনিয়ন। জালিয়াপালং ও রাজাপালং ইউনিয়নের মধ্যকার ফাইনাল ম্যাচ আগামী শনিবার বিকেলে একই ভেন্যুতে অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও উপজেলা ক্রীড়া সংস্থার সভাপতি ইমরান হোসাইন সজীবের সভাপতিত্বে খেলায় উপস্থিত আমন্ত্রিত অতিথিরা হলেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও রাজাপালং ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর কবির চৌধুরী, যুগ্ম সম্পাদক ও রত্নাপালং ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান নুরুল হুদা, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিসার আব্দুল্লাহ আল মামুন, একাডেমিক সুপার ভাইজার বদরুল আলম, উখিয়া সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় প্রধান শিক্ষক আবুল হোসেন সিরাজী, উপজেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলী মোঃ আল আমিন বিশ্বাস, উপজেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল মামুন শাহীন, জেলা কৃষক লীগ সহ-সভাপতি কাজী আক্তার উদ্দিন টুনু, উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক ইমাম হোসেন, রাজাপালং ইউনিয়ন পরিষদ প্যানেল চেয়ারম্যান সালাহ উদ্দিন ও সদস্য হেলাল উদ্দিনসহ অন্যান্যরা।
প্রথম খেলাটি পরিচালনা করেন কক্সবাজার জেলা রেফারি অ্যাসোসিয়েশনের সদস্য সিরাজুল হক ও দ্বিতীয় খেলা পরিচালনা করেন রুস্তম আলী সৈকত। ম্যাচ দুটির সহকারী রেফারি ছিলেন কায়সার মুবিন ও সাহাব উদ্দিন সাইফ।
অনুষ্ঠানজুড়ে সঞ্চালনা ও ম্যাচের ধারাভাষ্যকার ছিলেন মধ্য রাজাপালং সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নুরুল আবছার।
এদিকে টুর্নামেন্টে উপজেলার ১,২,৩,৪ ইউনিয়ন অংশগ্রহণ করলেও দেখা যায়নি ৫নং পালংখালী ইউনিয়নকে। টুর্নামেন্টে অংশগ্রহণ না করার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন পালংখালী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান এম. গফুর উদ্দিন চৌধুরী। কারণ জানতে চাইলে তিনি বলেন,’এই টুর্নামেন্টের ব্যাপারে আমরা জানি না।’ উপজেলা ক্রীড়া সংস্থার পক্ষ থেকে তাদের সাথে এ বিষয়ে যোগাযোগ করা হয়নি বলে দাবি করেন চেয়ারম্যান।