বৃদ্ধ -বিপত্নীক কৃষক থেকে,
কেউ কি জিজ্ঞেস করেছে?
কোথা থেকে তার,
এতদিনের প্রতিটি ইফতার থেকে সেহেরি,
জোগাঁড় হয়েছে?
২৫টি রোজা চলে গিয়েছে,
তার অপ্রাপ্তবয়স্ক দু কন্যাকে ঈদে,
কেমন কিভাবে নববস্ত্র এনে দিবে,
এসব প্রশ্ন,করেনি তাকে কেউ,
এমন কি করেনি এসব প্রশ্ন,স্বীয় তার দুই পুত্র,
যারা বিবাহোত্তর চলে গিয়েছে গ্রামের অন্যত্র।
তার থেকে, কেবল জিজ্ঞেস করেছে লোকে,
কবে চুকিয়ে দিবে তাদের ঋণ,সুদে -আসলে,
তার কন্যাদ্বয় জিজ্ঞেস করে,
কবে তাদের জন্য নববস্ত্র আনা হবে,
জিজ্ঞেস করেনি কখনো,
কেন সে একটি খেজুর পকেটে,
আর এক বোতল নিয়ে,
ইফতার ক্ষণে না চাইতেও থাকে বাহিরে,
আজ তার রোজার মাসের শেষে,
তার স্নায়ুচাপ কত উধ্বগতিতে চলেছে,
তার ফিকে চেহারা দেখে,
উপলব্ধি করা যায় না যে,
তার সোনালি ধান কাটা আজ অর্থাভাবে,
একক মেহনতে সম্ভব আর না হচ্ছে,
অন্যদিকে তার জৈষ্ঠ পুত্রবধূর অলংকার দানে,
যে পুত্রবধু স্বামী সহ গ্রামের অন্যত্র গিয়েছে চলে,
মহাজনের নিকট হতে,
যত ঋণ নিয়েছিলে সে,
তা ক্রমশ বাড়ছে কি বাড়ছে।
একাকিত্ব অসহায়ত্বে সে,
তার চির প্রিয় সসন্তানের মত বিলের কোণে,
একান্ত আপনে একলা বসে,
যখন আকাশ মেঘলা ঘন রুপে,
একের পর এক ব্জ্র নিক্ষেপিত করে চলেছে,
তার ধুসর ধুলো মাখা হাতদ্বয় তুলে,
আকাশে দিকে তাকিয়ে, বলছে,
যিনি এই আকাশের মালিক তাকে,
“যতকিছু দিয়েছ তুমি আমাকে,
ততকিছুর জন্য পূর্ণ মনে,
কৃতজ্ঞতা পারিনি দেখাতে,
রেখে দিও এই অসহায়কে,
প্রতিটি ক্ষমাতে,
তোমারই আপনে,আর রেখো,
তুমি আমার দুপুত্র কে সুখে,
যাদের মনে রেখেছি জীবন জুড়ে,
আমার প্রতিটি মান্নতে’