শহীদ মিনারে যেকোনো ধরনের বিশৃঙ্খলা ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড রোধে র্যাব সদস্যরা ছদ্মবেশ ও সাদা পোশাকে গোয়েন্দা নজরদারি এবং টহলের মাধ্যমে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করবে বলে জানিয়েছেন বাহিনীটির মহাপরিচালক (ডিজি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন।
শনিবার (২০ ফেব্রুয়ারি) বেলা ১২টার দিকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের প্রাক্কালে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার এলাকা পরিদর্শনে র্যাবমহাপরিচালক এ কথা জানান।
র্যাবের সার্বিক প্রস্তুতি সম্পর্কে চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন বলেন, “কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার এলাকাকে ৫টি ভাগে বিভক্ত করা হয়েছে। র্যাব সদস্যরা বিভিন্ন দলে ভাগ হয়ে পুলিশের সঙ্গে প্রয়োজনীয় সমন্বয়ে কাজ করবে। ওই এলাকায় তিন স্তরের নিরাপত্তা থাকবে।
মহাপরিচালক আরো বলেন, “র্যা্বের বোম্ব ডিসপোজাল ইউনিট ও ডগ স্কোয়াড শহীদ মিনার এলাকায় প্রয়োজনীয় সুইপিং কার্যক্রম পরিচালনা করবে। ওই এলাকায় জনসাধারণের চলাচলের পথ নিয়ন্ত্রণ ও বহিঃবেষ্টনি এলাকায় সন্দেহজনক সব হোটেল, রেস্টহাউস, গেস্টহাউস, বস্তি ও অন্যান্য সন্দেহভাজক স্থানে খানা তল্লাশির মাধ্যমে প্রয়োজনীয় নিরাপত্তা নিশ্চিত করার ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।”
এছাড়া বিভিন্ন এলাকা থেকে শহীদ মিনারমুখী রাস্তার মোড়গুলো চেকপোস্ট স্থাপনের মাধ্যমে সন্দেহভাজন ব্যক্তি, ব্যাগ ও পুষ্পস্তবক ইত্যাদি তল্লাশির মাধ্যমে যথাযথ ব্যবস্থা নিশ্চিত করা হবে বলেও জানান র্যাব ডিজি।
চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন আরো জানান, “ইতোমধ্যে সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপনের মাধ্যমে স্পর্শকাতর স্থানগুলো র্যাবের নিরাপত্তা বলয়ের মধ্যে আনা হয়েছে। সার্বিক নিরাপত্তা কার্যক্রমে সিসিটিভির মনিটরিং সেন্টার কন্ট্রোল রুমের মাধ্যমে সার্বক্ষণিকভাবে পর্যবেক্ষণ করা হবে।”
মহাপরিচালক জানান, শহীদ মিনারে আগত মহিলাদেরকে প্রয়োজনে মহিলা র্যাব সদস্য দিয়ে তল্লাশির মাধ্যমে নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হবে। নিরাপত্তার বিষয়টি সর্বোচ্চ গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করে যেকোনো উদ্ভূত পরিস্থিতি মোকাবেলার জন্য সার্বিক্ষণিকভাবে প্রস্তুত থাকবে র্যাব। একই সঙ্গে যেকোনো প্রয়োজনে হেলিকপ্টার প্রস্তুত থাকবে, যাতে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেওয়া যায়।
