আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
মিয়ানমার ক্ষমতাসীন দলের প্রধান অং সান সু চিকে আটক করেছে সেনাবাহিনী। এছাড়াও দেশের প্রেসিডেন্ট উইন মিন্টসহ কয়েকজন নেতাকে আটক করা হয়েছে। সোমবার সকালে (০১ ফেব্রুয়ারি) তাদের আটক করা হয় বলে ন্যাশনাল লীগ ফর ডেমোক্রেসির (এনএলডি) এক মুখপাত্র নিশ্চিত করেছেন।
গত বছর নভেম্বরের নির্বাচনে অং সান সুচির এনএলডি সংখ্যাগরিষ্ঠতা লাভ করে। কিন্তু সেনাবাহিনী নির্বাচনে জালিয়াতির অভিযোগ তোলে। সোমবার নবনির্বাচিত সংসদের প্রথম বৈঠক হবার কথা, কিন্তু সেনাবাহিনী অধিবেশন স্থগিত করার জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানায়।
বিবিসি জানিয়েছে, এই ঘটনা এমন সময় ঘটছে যখন মিয়ানমারে একটি সামরিক অভ্যুত্থানের সম্ভাবনা নিয়ে আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।
এনএলডির মুখপাত্র মিও নিয়ুন্ট ফোনে রয়টার্সকে বলেন, ‘সু চি ও প্রেসিডেন্ট উইন মিন্টসহ অন্য নেতাদের খুব সকালে ‘‘তুলে নিয়ে’’ যাওয়া হয়।’
তিনি বলেন, আমি দলের নেতাকর্মীদের বলবো আপনারা খুব তাড়াতাড়ি এর প্রতিক্রিয়া দেখাবেন না। আমি চাই আপনারা আইন মেনে চলুন।’ নিজে আটকের বিষয়েও আশঙ্কা প্রকাশ করেন এই নেতা। এরপর আর তার সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।
একজন প্রত্যক্ষদর্শী বলেন, ‘দেশের প্রধান শহর ইয়াংগুনের সিটি হলের সামনে সেনা মোতায়েন করা হয়েছে।’
তবে এ বিষয়ে সেনাবাহিনীর বক্তব্য জানার চেষ্টা করা হলে তাদের কোনো মুখপাত্র ফোন ধরেননি। এদিকে, সকালে মিয়ানমারের রাজধানী নাইপিদোতে কোনো ফোন সংযোগ পাওয়া যায়নি।
এনএলডির এক আইনজীবী নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, ‘সু চি ও প্রেসিডেন্টের সঙ্গে যাদের আটক করা হয়েছে তাদের মধ্যে দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য হান থার মিন্ট রয়েছেন।’