রাজু দাশ, চকরিয়া:
করোনা সংক্রমণের ঝুঁকি এড়াতে দীর্ঘ সাত মাসেরও বেশি সময় বন্ধ থাকার পর কক্সবাজারের সর্ববৃহৎ প্রাকৃতিক বনাঞ্চলে পর্যটক কেন্দ্র চকরিয়া ডুলাহাজারা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্ক আগামী ১ নভেম্বর থেকে খুলে দেওয়া হচ্ছে। সাফারি পার্ক উন্মুক্ত করতে মন্ত্রণালয়ের থেকে স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে এ নির্দেশ দেওয়ার পর খুলে দেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন পার্কের কর্তৃপক্ষ।
প্রসঙ্গত, করোনাভাইরাসের সংক্রমণ প্রতিরোধে চলতি বছরের ২০ মার্চ থেকে পরবর্তী ঘোষণা না দেওয়া পর্যন্ত পার্কে দর্শনার্থী প্রবেশ বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছিল। বুধবার সন্ধ্যায় মন্ত্রণালয়ের এক চিঠিতে স্বাস্থ্যবিধি মেনে আগামী রোববার ১ নভেম্বর থেকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্কটি দর্শনার্থীদের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন।
এদিকে দীর্ঘ সাতমাসের বেশি সময় পর্যন্ত পার্কের অভ্যন্তরে সকল ধরণের পর্যটক-দর্শনার্থীর আগমন দীর্ঘদিন যাবত বন্ধ থাকায় সৌন্দর্যর ভরে উঠেছে রঙিন ফুলে। উন্মুক্তভাবে বিচরণ করছে পশুপাখি। বিরল প্রজাতির প্রাণির ঘরেও এসেছে নতুন অতিথি। তন্মধ্যে বাচ্চা প্রসব করেছে হাতি, বিরল প্রজাতির আফ্রিকান ওয়াইল্ডবিস্ট, জলহস্তি, চিত্রা হরিণ, প্যারা হরিণ, মায়া হরিণ, বানর, বিলুপ্ত প্রায় কালিম পাখি, সাধারণ প্রজাতির ময়ূরসহ বিভিন্ন পশু-পাখি। শুধুমাত্র হরেক রকমের পশু-পাখি ও বন্যপ্রাণির চিৎকার- চেঁচামেচিতেই মুখর হয়ে রয়েছে পার্কটি। যাতে আগের মতোই দেশি- বিদেশি পর্যটক- দর্শনার্থী মনের আনন্দে পার্ক ভ্রমণ করতে পারবে বলে জানান পার্ক কর্তৃপক্ষ।
বঙ্গবন্ধু সাফারি পার্কের সহকারী তত্ত্বাবধায়ক মোঃ মাজহারুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ প্রতিরোধ দীর্ঘদিন যাবত পার্কটি বন্ধ থাকায় সৌন্দর্যর ভরে উঠেছে রঙিন ফুলে আর উন্মুক্তভাবে বিচরণ করছে পশুপাখি।
দর্শনার্থীদের জন্য পার্ক উন্মুক্ত করতে মন্ত্রণালয়ের নির্দেশ পাওয়ার পর পহেলা নভেম্বর থেকে পর্যটক-দর্শনার্থীদের জন্য পার্ক খুলে দেওয়া হবে। তাই ভেতর এবং আশপাশের সড়কে কয়েকফুট উচ্চতার গজিয়ে উঠা ঝোপঝাড় কেটে পরিস্কার- পরিচ্ছন্ন করে তোলা হয়েছে।
তিনি আরো বলেন, পার্কে ৫২ প্রজাতির আবদ্ধ এবং উন্মুক্ত পরিবেশের ১২৩ প্রজাতির বন্যপ্রাণি ও পশুপাখি রয়েছে। এরা তৃণভোজী, সরীসৃপ, মাংসাসী ও হরেকপ্রজাতির বন্যপ্রাণি ও পশুপাখি। তন্মধ্যে দীর্ঘসময় পার্ক বন্ধ থাকায় ১৩ প্রজাতির বন্যপ্রাণি ও পশুপাখির নতুন করে প্রজনন হয়েছে। করোনা পরবর্তী সময়ে দর্শনার্থীদের বাড়তি আনন্দ আগের মতোই আনন্দে পার্কে উপভোগ করতে পারবেন এমনটাই প্রত্যাশা করেন পার্কের কর্মকর্তরা।
Discussion about this post