১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবস। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হত্যাকাণ্ড বাংলাদেশের গভীরতম শোকাবহ ঘটনা। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট সেনাবাহিনীর একদল বিপথগামী সদস্য জাতির জনককে সপরিবার হত্যা করে। পঁচাত্তরের ১৫ আগস্ট যাঁরা জীবন দিয়েছেন, তাঁদের সবার প্রতি প্রথমেই আমি শ্রদ্ধাঞ্জলি জ্ঞাপন করছি।
বঙ্গবন্ধুর আদর্শ মানেই তো দেশপ্রেম। বঙ্গবন্ধুর আদর্শ মানুষ সৎ ভাবে বেঁচে থাকা। বঙ্গবন্ধু আদর্শ মানে সবার কথা ভাবা। বঙ্গবন্ধু মানেই ন্যায্য কথা বলা। বঙ্গবন্ধুর আদর্শ মানেই দুর্নীতির বিরুদ্ধে অবস্থান।
বঙ্গবন্ধুর মতো নেতা এমন মহাকবি শুধু বাংলায় কেন এই পৃথিবীতেই বিরল। একটা মানুষ স্বাধীনতার স্বপ্ন দেখলেন, পুরো জাতিকে সেই স্বপ্ন দেখালেন এবং সত্যি সত্যি দেশ স্বাধীন করলেন। অবিশ্বাস্য এক জাদুকর!
সারা পৃথিবী খুঁজে বঙ্গবন্ধুর মতো এমন এক জাদুকর, এমন এক অসাধারণ নেতা পাওয়া দুস্কর। কিন্তু আমরা বড় অভাগা জাতি। এমন বিশ্বনেতাকে কতোগুলো হায়েনারা স্বাধীনতার মাত্র চার বছরের মাথায় হত্যা করে গোটা বাংলাদেশের সব সম্ভাবনা শেষ করে দিয়েছিল।
বঙ্গবন্ধু বেঁচে না থাকার চিন্তা মাথায় এলেই বাস্তবে বঙ্গবন্ধুর আদর্শ চর্চার প্রতিটা মানুষের চোখ ভিজে আসে। বাংলার হৃদয়ে হাহাকার সৃষ্টি হয়। তখন সামনে থেকে বঙ্গবন্ধুকে দেখতে পাওয়ার ইচ্ছে প্রবল হয়। প্রবল থেকে প্রবলতর হওয়া শুরু হয় । বাস্তবে বঙ্গবন্ধুর আদর্শ চর্চার প্রতিটা মানুষের সেই ভরাট কণ্ঠের সামনাসামনি কোন আলাপ শুনার লালন করা ইচ্ছে আরো প্রবল হয়। এই অপূরনীয় ইচ্ছা কখনোই যে পূরণ হবার নয়।
বঙ্গবন্ধুর চলে যাওয়ার পঁয়তাল্লিশ বছর পার হলো। এত দীর্ঘ সময়ে তাঁর অনুপস্থিতিটা বড় হয়ে সামনে আসার কথা। কিন্তু আমার মনে হচ্ছে, অনুপস্থিতির চাইতে তাঁর উপস্থিতিটাই প্রবল হয়ে দেখা দিচ্ছে। সামনে আরো বেশি হবে।
বঙ্গবন্ধু হলেন রাজনীতির মহাকবি, বাঙালির হাজার বছরের স্বপ্ন দিয়ে রচনা করেছেন স্বাধীনতা নামের মহাকাব্য। এই মহকাব্যের মহানায়কও স্বয়ং তিনি, শেখ মুজিবুর রহমান। তিনিই তো বাংলাদেশ।
যতদিন বাংলাদেশ থাকবে, দেশের মানুষ সযত্নে বুকে লালন করবে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে।
আর এই কারণেই পুরো বাঙালি জাতি প্রতিনিয়ত বলে,
যতদিন রবে পদ্মা, মেঘনা, গৌরি, যমুনা বহমান… ততদিন রবে কীর্তি তোমার… শেখ মুজিবর রহমান।
লেখক: সাইমুম শারিক হিমেল
লেখক, কলামিস্ট।
Discussion about this post