সমাজ তথা রাষ্ট্রের তরুণরাই আগামী দিনের দেশ ও জাতির কর্ণধার। তরুণ অর্থাৎ যুবসমাজই পারে শত বাধা বিপত্তি অতিক্রম করে দেশকে স্বপ্নের দেশ হিসেবে গড়ে তুলতে।
তাই সুকান্ত ভট্টাচার্য তাঁর ‘আঠারো বছর বয়স’ কবিতায় বলেছেন-
‘পথ চলতে এ বয়স যায় না থেমে,
এদেশের বুকে আঠারো আসুক নেমে।’
কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য যে, একে অপরের প্রতি সম্মানবোধ, ছোটদের প্রতি স্নেহ, মায়া-মমতা কমতি থাকায় অধিকাংশ যুবসমাজ কিংবা সমাজ এখন বিপথে পরিচালিত হচ্ছে। আমার ছোট্ট জ্ঞানই এটি এক নাম্বারে স্থান পাবে।
সমাজ অবক্ষয়ের ফলে সাধারণ মানুষ হতাশায় নিমজ্জিত হচ্ছে এবং তাদের চোখে, মুখে ও বুকে গভীর ক্ষত তৈরি করতে চলেছে। যার কারণে এক সময়ের নামকরা সমাজ ব্যবস্থা যাচ্ছে- অনিশ্চিত অন্ধকারের দিকে। আর এই সমস্যার প্রতিকার না হলে একালাবাসীর কাছে ভয়াবহ অবস্থা সৃষ্টি হতে কতক্ষণ।
সমাজ পরিচালনায় মানুষের কতগুলি গুণ থাকে। এই গুণগুলি যখনই লোপ পায় বা নষ্ট হয় তখনই শুরু হয় নৈতিক অবক্ষয়। এ নৈতিক অবক্ষয় প্রভাবিত করে ব্যক্তি, সমাজ তথা গোষ্ঠীকে।
ঠেলাঠেলি নই, যুবসমাজকে গুরুত্ব দিতে হবে সমান ভাবে। সমাজ ব্যবস্থাপনায় প্রতিটি কিছুর আশা-আকাঙ্ক্ষার প্রতীক হলো যুবসমাজ। তারা কখনও পরাজয় মেনে নেয় না এবং পুরাতনকে নতুন করে গড়তে চায়। কিন্তু এই সমাজ যখন খারাপ পথে ধাবিত হয়, তখন সমাজের মধ্যে নানা সমস্যা দেখা যায়। সমাজের অবক্ষয়ের কারণে জীবনে নেমে আসে চরম দুঃখ-দুর্দশা, বিপর্যয় ও হতাশা। তাই আসুন সকলেই মিলে সামাজিক বিষয়গুলিকে গুরুত্ব দিয়ে সমাধান দেয়ার চেষ্টা করি।
পরিশেষে সমাজ ব্যবস্থার উন্নতি হোক এ প্রত্যাশায়-
ইঞ্জিনিয়ার একরাম উদ্দীন জুয়েল চৌধুরী
মহেশখালী, কক্সবাজার।